ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা। তবুও ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা এক বস্তা (৬০ কেজি) মুলা বিক্রি করছেন একশ টাকা দামে। এ দৃশ্য ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন বাজারের।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা য়ায়, এ বছর জেলায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এককভাবে মূলার চাষ হয়েছে প্রায় ৫শ হেক্টর।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার বিমানবন্দর, গিলাবাড়ী, মরিচপাড়া এলাকায় মুলাচাষীরা বিক্রয়ের জন্য গ্রাহক না পাওয়ায় মুলাসহ জমিতে হাল দিচ্ছেন।
মরিচপাড়া এলাকার সুমন আলী বলেন, এক একর মুলার চাষ করেছি, ফলনও ভাল হয়েছে। প্রথমে দাম কিছুটা ভাল থাকলেও বর্তমানে কেজি ২ টাকা দামে মুলা বিক্রয় হচ্ছে।
বিমানবন্দর এলাকার মুলা চাষী শাহজাহান আলী বলেন, ৪ একর জমিতে মুলার চাষ করেছি। বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ী না পেয়ে মুলাসহ জমিতে হাল দিচ্ছি। আবারো ঐ জমিতে আলুর চাষ করবো।
তিনি আরো বলেন, কষ্ট করে চাষ করে উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছি না। এভাবে চলতে থাকলে চাষী টিকে থাকতে পারবে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও মুলার দাম ভাল ছিল। অন্য জেলায় মুলার চাহিদা না থাকায় হঠাৎ মুলার দাম কমে গেছে। শুধু মুলা নয় সব সবজির দাম কম।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ফলন ভাল হচ্ছে। একই সাথে সকল সবজি বাজারে আসায় মুলার দাম কম পচ্ছে চাষীরা। তবে চাষীরা যদি পরিকল্পনা করে বাজারের চাহীদা অনুযায়ী সবজির চাষ করে তাহলে লাভবান হতে পারে।